ইসলামের দৃষ্টিতে দুর্নীতির কারণ ও প্রতিকার
০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৬ এএম | আপডেট: ০৪ জানুয়ারি ২০২৫, ১২:২৬ এএম
ইসলাম নৈতিকতার ধর্ম। এখানে দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই। দুর্নীতি দমনে মহানবী (সা.) শান্তি ও সুনীতির যে বাণী উচ্চারণ করেছিলেন, ব্যক্তি, পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রে তা বাস্তবায়ন করতে পারলে বিদ্যমান দুর্নীতি প্রতিরোধ সম্ভব।
দুর্নীতির সংজ্ঞা : দুর্নীতি হলো কুনীতি, কুরীতি, ন্যায় ও ধর্মবিরুদ্ধ আচরণ। পরিভাষায় দুর্নীতি বলা হয়—অবৈধ পন্থার ব্যবহার, অবৈধ পদ্ধতি বা কৌশল অবলম্বন করে বিশেষ স্বার্থ উদ্ধার অথবা অন্যের অধিকার হরণ কিংবা কোনো নাগরিক বা রাষ্ট্রের প্রতি অবিচার করা এবং স্বেচ্ছাচারিতার পরিচয় দিয়ে নাগরিক অথবা রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ক্ষুণ্ন করা। কেউ কেউ বলেন, দুর্নীতি হলো অসততা, অবৈধ আচরণ, বিশেষ ক্ষমতা ও কর্তৃত্বে আসীন ব্যক্তিদের আইনবহির্ভূত আচরণ, ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ ইত্যাদি।
ইসলামের দৃষ্টিতে চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, সুদ, ঘুষ, জুয়া তথা যেকোনো হারাম পন্থা অবলম্বন, ক্ষমতা ও পেশিশক্তির অপব্যবহার, স্বেচ্ছাচারিতা, প্রতারণা, আইনের অসৎ ব্যবহার ইত্যাদির মাধ্যমে ব্যক্তিগত ও গোষ্ঠীগত স্বার্থ হাসিল এবং দেশ, জাতি ও সাধারণ নাগরিকের অধিকার ও স্বার্থ হরণ করার নাম দুর্নীতি। ইসলাম অপরাধী, দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে শাস্তি দিতে স্বচ্ছ আইন এবং তা দ্রুত কার্যকর করার বিধান প্রণয়ন করেছে। এ ছাড়া ইসলামে অপরাধ ও দ-বিধি মওকুফ করার অধিকার রাষ্ট্রপ্রধানকেও দেওয়া হয়নি। কারণ এতে অপরাধীদের আরও বড় অপকর্ম করার সুযোগ করে দেওয়া হয়। এ জন্য মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘আমার মেয়ে ফাতেমা চুরি করলেও আমি তার হাত কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেব।’ (বুখারি)।
অসৎ ও হারাম উপায়ে উপার্জনের প্রবণতা থেকেই মানুষ দুর্নীতিগ্রস্ত হয়। দুর্নীতি দমনের মূলনীতি হিসেবে ইসলাম হালাল-হারামের পার্থক্য স্পষ্টভাবে বর্ণনা করেছে। সেই সঙ্গে হালালের উপকারিতা এবং হারামের অপকারিতা স্পষ্ট করে দিয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে মানুষ, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু ভক্ষণ করো। আর শয়তানের পদাঙ্ক অনুসরণ কোরো না। সে নিঃসন্দেহে তোমাদের প্রকাশ্য শত্রু।’ (সুরা বাকারা : ১৬৮)। মহানবী (সা.) হারাম উপার্জনে উম্মতকে নিরুৎসাহিত করেছেন। তিনি এরশাদ করেন, ‘হারাম খাদ্য ও পানীয়ে বর্ধিত দেহ জান্নাতে প্রবেশ করবে না।’ (মিশকাত) অন্য হাদিসে এসেছে, ‘যে ব্যক্তি ১০ দিরহামে একটি কাপড় পরিধান করে, যার মধ্যে ১ দিরহাম হারাম থাকে, তার পরিধানে ওই কাপড় থাকা অবস্থায় আল্লাহ তাআলা তার নামাজ কবুল করেন না।’ (মুসনাদে আহমাদ)।
আল্লাহর ভয় ও নৈতিকতার অনুশীলন : দুনিয়ায় অপরাধের শাস্তি হোক বা না হোক, আখিরাতে সব অপরাধের বিচার হবে। দুনিয়ায় মানুষের চোখ ফাঁকি দেওয়া গেলেও আখিরাতে আল্লাহর দরবারে ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগই থাকবে না; বরং সব কর্মকা-ের পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব দিতে হবে। সেখানে কোনো বিষয়ে দুর্নীতি, ব্যক্তি বা জাতির হক আত্মসাৎ প্রমাণিত হলে তার জবাবদিহি করতে হবে এবং পরিণামে জাহান্নামের কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে। তা থেকে বাঁচার কোনো উপায় থাকবে না। সেদিন হাত, পা ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ অপরাধীর বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন, ‘আজ আমি তাদের মুখে মোহর এঁটে দেব, তাদের হাত আমার সঙ্গে কথা বলবে এবং তাদের পা তাদের কৃতকর্মের সাক্ষ্য দেবে।’ (সুরা ইয়াসিন: ৬৫)।
আল্লাহর সামনে হিসাব দিতেই হবে—এই মানসিকতা জনসাধারণের মধ্যে সৃষ্টি হলে দুর্নীতি ও অপরাধ কমে আসবে। দুর্নীতি প্রতিরোধের জন্য আধুনিক শিক্ষার পাশাপাশি ইসলামি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম। এ জন্য প্রথমেই পারিবারিক পরিকল্পনা নিতে হবে। কারণ একজন শিশুর ওপর পরিবারের প্রভাব সবচেয়ে বেশি থাকে। তাই প্রত্যেক মা-বাবার উচিত, সন্তানকে সৎ, আল্লাহভীরু ও ইসলামি অনুশাসনের পূর্ণ অনুসারী হিসেবে গড়ে তোলার সুব্যবস্থা করা।
এ ক্ষেত্রে রাষ্ট্রেরও কিছু দায়িত্ব রয়েছে। তা হচ্ছে সৎ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল নাগরিক তৈরির জন্য ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা। দুর্নীতিমুক্ত জাতি গঠনের লক্ষ্যে ইসলামি মূল্যবোধ ও তাকওয়ার ব্যাপক অনুশীলন হওয়া প্রয়োজন। ইসলামি মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ইহলৌকিক ও পারলৌকিক জীবনে দুর্নীতির ভয়াবহ পরিণতি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করতে হবে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘লোকালয়ের মানুষগুলো যদি ইমান আনত ও তাকওয়ার জীবন অবলম্বন করত, তাহলে আমি তাদের ওপর আসমান-জমিনের যাবতীয় বরকতের দুয়ার খুলে দিতাম।’ (সুরা আরাফ : ৯৬)।
পাশাপাশি সমাজের সর্বস্তরে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। কোথাও দুর্নীতি হতে দেখলে সাধ্যমতো প্রতিবাদ করতে হবে। মহানবী (সা.) বলেছেন, ‘তোমাদের কেউ যখন কোনো অন্যায় হতে দেখে, সে যেন সম্ভব হলে তা হাত দিয়ে রুখে দেয়। আর তা সম্ভব না হলে প্রতিবাদী ভাষা দিয়ে যেন তা প্রতিহত করে। আর তা-ও না পারলে সে যেন ওই অপকর্মকে হৃদয় দিয়ে বন্ধ করার পরিকল্পনা করে (মনে মনে ঘৃণা করে), এটি দুর্বল ইমানের পরিচায়ক।’ (তিরমিজি)। আর দুর্নীতি মানবচরিত্রেরই একটি বৈশিষ্ট্য। পৃথিবীতে মানবজাতির যাত্রা যখন শুরু হয়েছিল, ঠিক তখন থেকেই দুর্নীতির গোড়াপত্তন। বাবা আদম ও মা হাওয়া (আ.) নবী ও নবীপতœী হওয়ার সুবাদে মহান আল্লাহর বিশেষ সুরক্ষার অধীনে থাকায় দুর্নীতি থেকে মুক্ত থাকলেও তাঁদের সন্তানরা মুক্ত থাকতে পারেনি তা থেকে। পবিত্র কোরআনে বর্ণিত হাবিল ও কাবিলের ঘটনা সে কথাই প্রমাণ করে।
ইরশাদ হয়েছে, ‘তুমি তাদের কাছে আদমের দুই পুত্রের ঘটনা যথাযথভাবে পাঠ করো! যখন তারা উভয়ে কিছু কোরবানি পেশ করেছিল। তখন তাদের একজনের কোরবানি গৃহীত হয়েছিল আর অন্যজনেরটা গৃহীত হয়নি। সুতরাং (যার কোরবানি গৃহীত হয়নি) সে বলল, আমি অবশ্যই তোমাকে হত্যা করব। সে বলল, নিশ্চয়ই আল্লাহ খোদাভীরুদের থেকেই (কোরবানি) গ্রহণ করে থাকেন। তুমি যদি আমাকে হত্যা করতে আমার দিকে তোমার হাত বাড়িয়ে দাও, তবে আমি কিন্তু তোমাকে হত্যা করতে তোমার প্রতি আমার হস্ত প্রসারিত করব না। কেননা আমি সারা জাহানের প্রতিপালক আল্লাহকে ভয় করি। আমি চাই, তুমি আমার ও তোমার পাপ নিজেই একা মাথায় চাপিয়ে নাও, অতঃপর তুমি জাহান্নামিদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাও।’ (সুরা আল-মায়েদা : ২৭-২৯)। উদ্ধৃত আয়াতের প্রতি অনুসন্ধানী দৃষ্টিতে তাকালে কয়েকটি বিষয় স্পষ্ট বোঝা যায়।
এখানে দুর্নীতির কারণ, পরিণতি এবং দুর্নীতিবিরোধীদের অবস্থা স্পষ্ট বিবৃত হয়েছে। (ক) দুর্নীতির কারণ একটাই আর তা হলো, সার্থপরতা। (খ) দুর্নীতির পরিণতি-নিজের ও মজলুম জনতার সব পাপের বোঝা কাঁধে নিয়ে চিরস্থায়ী জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করা। (গ) আর শান্তিকামী মানুষের অবস্থা হলো, তাকওয়া বা খোদাভীতি নিয়ে অন্যায়-অবিচার আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ে যাওয়া। পৃথিবীতে দুর্নীতির প্রথম প্রকাশ হজরত আদম (আ.)-এর এক পুত্রের থেকে এবং আপন সহোদরকে হত্যার মধ্য দিয়ে।
আর দুর্নীতির বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদও করেছিলেন হজরত আদম (আ.)-এর অপর পুত্র। নিজের জীবন দিয়ে তিনি শান্তিকামীদের মহৎ অবস্থান নির্দেশ করে গেছেন। পৃথিবীর আদিতে দুর্নীতির রাহুগ্রাসে পতিত হওয়া মানবসভ্যতা এ থেকে মুক্ত হতে পারেনি আজও। তবে সমাজকে দুর্নীতিমুক্ত করার প্রচেষ্টা চলে আসছে সেই আদিকাল থেকে। আদিতে যেমন নীতির শান্ত-শালীন অবস্থানকে টপকে দুর্নীতির অশান্ত-অশালীন আস্ফালনটা বড় হয়ে উঠেছিল, আজও সেই একই অবস্থা বিরাজমান। সভ্যতা ও সংস্কৃতির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে দুর্নীতির প্রকৃতি ও ধরনেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে।
বলা যায়, দুর্নীতি থেকে বাঁচার চেষ্টায় মানুষ যতটা সচেষ্ট, তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দুর্নীতিবাজরা এগিয়ে চলেছে; বরং তারা একটু বেশি কৌশলী বলা যায়। তাই আজ দুর্নীতির সামাজিকীকরণ হতে চলেছে। কন্যাসন্তানের জন্মর পর থেকে জামাতার রাক্ষুসেক্ষুধা ‘যৌতুকের দাবি’ মেটানোর জন্য মেয়ের বাবার প্রস্তুতি, মেয়ের বিবাহের জন্য বাবার পছন্দের তালিকায় পুলিশ, ইনকাম ট্যাক্স, ভূমি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ইত্যাদি ক্যাডারের চাকুরে ছেলে প্রথম অবস্থানে থাকা, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় নিয়োগে উন্নয়নের নামে লাখ লাখ টাকার উৎকোচ, সরকারি ভূমি ভুয়া নামে বরাদ্দ, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিতে ঘুষ, বদলিতে ঘুষ, ফাইল নাড়াচাড়ায় ঘুষ, ন্যায্য বিল তুলতে ঘুষ, চিকিৎসায় ঘুষ, বিচারে ঘুষ-এ সবই দুর্নীতির সামাজিক রূপ। দুর্নীতিবিরোধী আওয়াজটা ধীরে ধীরে ক্ষীণ হয়ে আসছে,। কারণ দুর্নীতি দমনের লোকজনও অবৈধ উৎকোচ দিতে বাধ্য হচ্ছে এবং নিজেরাও নিচ্ছে-এমন খবরও বেশ পুরনো।
দুর্নীতির মাধ্যমে সংঘটিত অপরাধগুলোর বিচারে আইন ও দ-ের প্রচলন মানবসমাজে বেশ আগে থেকেই। তবে দুর্নীতিকে বিশেষভাবে সংজ্ঞায়িত করে তাকে বিচারের আওতায় আনার চেষ্টা ১৮৬০ সাল থেকে শুরু হয়। ভারত উপমহাদেশে ১৯৪৪ সালে তৎকালীন ব্রিটিশ সরকার এক অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে গণকর্মচারীদের ক্ষমতার দৌরাত্ম নিয়ন্ত্রণের উদ্যোগ গ্রহণ করে। পরবর্তী সময়ে ১৯৪৭ সালে ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ১৯৪৭’ প্রণীত হয়। জারিকৃত প্রতিরোধ আইন বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল পুলিশকে; কিন্তু তাতে কাক্সিক্ষত ফল অর্জিত না হওয়ায় দুর্নীতিসংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য অস্থায়ীভাবে ‘দুর্নীতি দমন ব্যুরো’ গঠন করা হয়। অতঃপর ১৯৫৭ সালে ‘দুর্নীতি দমন আইন ১৯৫৭’ বলবৎ করা হয় এবং ১৯৬৭ সাল থেকে দুর্নীতি দমন ব্যুরোকে সরকারের একটি স্থায়ী দপ্তর হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হয়। সেই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও চলতে থাকে দুর্নীতি দমনসংক্রান্ত কার্যাবলি। (চলবে)
বিভাগ : ইসলামী জীবন
মন্তব্য করুন
আরও পড়ুন
রোমাঞ্চকর ড্রয়ে শেষ ইউনাইটেড-লিভারপুল হাইভোল্টেজ লড়াই
মির্জাপুর উপজেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মৃধার পদ স্থগিত
বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকালে বিজিবি হেফাজতে ৩৬ মিয়ানমার নাগরিক
খালেদা জিয়ার সঙ্গে কর্নেল অলির সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশনের সভাপতি নাসির মহাসচিব নেওয়াজ
আইনজীবীদের জুরিসপ্রুডেন্সের ওপর বই লেখার আহ্বান প্রধান বিচারপতির
রোমানিয়ায় কূটনীতিক মহসিনকে শাস্তির দাবিতে ৭ দিনের আলটিমেটাম
লক্ষ্মীপুরে ফিটনেস বিহীন গাড়ির বিরুদ্ধে অভিযান, ৩৯ হাজার টাকা জরিমানা
দক্ষিণ এশিয়ান টেনিস বল ক্রিকেট চ্যাম্পিয়ানশীপে রানার্স-আপ সৈয়দপুর দলকে সংবর্ধনা
সাভার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত
ভাড়াটিয়াসহ মালিককে বের করে বসত বাড়ি দখল
যে মামলায় আটক লতিফ বিশ্বাস
নতুন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শিক্ষকদের প্রস্তুতি নিতে হবে
প্রশাসন সংস্কারে কঠোর হতে হবে
অসভ্য নগরীতে পরিণত ঢাকা
মার্কিন নিষেধাজ্ঞার বিরুদ্ধে চীনের পাল্টা নিষেধাজ্ঞা
সমুদ্রে ক্ষয়যোগ্য শক্ত প্লাস্টিক ব্যবহার করা যাবে গাড়িতেও
উৎসবে আতশবাজি নিষিদ্ধে হাজারও মানুষের আবেদন
বাথরুমের নাম করে গয়না নিয়ে পালালেন কনে
অর্থ, রসিদ বই নিয়ে পালিয়ে গেল ইসকনের কর্মী